Tourist places in Dhaka
ঢাকা নামের উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট করে তেমন
কিছু জানা যায় না। এ সম্পর্কে অনেকগুলি প্রচলিত মত রয়েছে।
শোনা যায়, বল্লাল সেন কতৃক নির্মিত ঢাকেশ্বরী মন্দির
থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তি হয়েছে। অনেকে আবার বলেন ১৬১০ সালে ইসলাম খাঁ বুড়িগঙ্গার
কাছে ঢাক বাজিয়ে যতদুর পর্যন্ত সেই ঢাকের শব্দ শোনা যায় ততদুর পর্যন্ত সীমানা
নির্ধারন করে ঐ এলাককে রাজধানী বানান। আর তাই সেই এলাকাকেই ’ঢাকা’ নামে ডাকা হয়। অন্য আরেকটি জনশ্রুতি
হচ্ছে- একসময় এ অঞ্চলে প্রচুর ঢাক নামক গাছ ছিল বলে এর নাম হয়েছে ঢাকা। এটাও
শোনা যায় “ঢাকাইয় ভাষা” নামে একটি ভাষা এখানে প্রচলিত ছিল, সেই অনুসারে নাম হয়ে যায় ঢাকা। সাধারন
ভাবে এটাও শোনা যায়- এক সময় সারা অঞ্চলই ঘন বনে ঢাকা ছিলো বলে এর নাম হয়ে যায়
ঢাকা।
ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৬১০ খ্রীষ্টাব্দে
ইসলাম খাঁ চিশতি বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের
নামানুসারে এর নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর। প্রশাসনিকভাবে জাহাঙ্গীরনগর নামকরণ হলেও
সাধারণ মানুষের মুখে ঢাকা নামটিই থেকে যায়। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২সালের
ভাষা আন্দলন দিয়ে শুরু হয়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের ফসল হিসেবে ১৬ই
ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
ঢাকাতে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। আর এই
লেখায় সেই সমস্ত দর্শনীয় স্থান গুলোর কথাই ফুটে উঠেছে। কয়েকটি অংশে ঢাকাকে ভাগ
করে দশর্নীয় স্থানগুলোতে উপস্থাপন করা
হয়েছে।
আহসান মঞ্জিল
বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় ঘেঁষে কুমারটুলি
এলাকায় এই আহসান মঞ্জিলের অবস্থান। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে শেখ ইনায়েত
উল্লাহ আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থানে রংমহল নামের একটি প্রমোদ ভবন নির্মাণ করেন।
পরে বিভিন্ন হাতঘুরে তা নবাব আব্দুল গনির হাতে আসে। নবাব আব্দুল গনি ভবনটিকে
পূণনির্মাণ করেন,
১৮৫৯ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ১৮৭২ সালে
শেষ হয়। নিজের ছেলে খাজা আহসান উল্লাহ-এর নামে “আহসান মঞ্জিল” নামটি তখনই রাখেন তিনি। পরে এ বাড়িতে
নবাব আহসান উল্লাহ বাস করতেন।
মঞ্জিলটি দুটি অংশে বিভক্ত “রংমহল” এবং “অন্দরমহল”।
প্রাসাদটির উপরে অনেক সুদৃশ্য গম্বুজ
রয়েছে। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর; প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী এ জাদুঘর
দেখতে এসে থাকেন। শনি থেকে বুধ, প্রতিদিন
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের জন্য এটি খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার ও অন্যান্য
সরকারি ছুটির দিনে আহসান মঞ্জিল বন্ধ থাকে।
জাদুঘর
কম বেশি ৪০টির মত জাদুঘর রয়েছে ঢাকা শহর
জুড়ে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,
শাহবাগে অবস্থিত “বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর”।
ঢাকার জিরোপয়েন্টের পাশে অবস্থিত “পোস্টাল জাদুঘর”।
আগারগাঁওয়ে “জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর”।
৫নং সেগুন বাগিচায় “মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর”।
ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর সড়কের ৩২ নম্বরেই রয়েছে “বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর”।
রাজার বাগের পুলিশ লাইনে আছে “পুলিশ জাদুঘর”।
মিরপুর চিড়িয়াখানার ভেতরে রয়েছে “প্রাণী জাদুঘর”।
শাহবাগে অবস্থিত “বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর”।
ঢাকার জিরোপয়েন্টের পাশে অবস্থিত “পোস্টাল জাদুঘর”।
আগারগাঁওয়ে “জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর”।
৫নং সেগুন বাগিচায় “মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর”।
ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর সড়কের ৩২ নম্বরেই রয়েছে “বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর”।
রাজার বাগের পুলিশ লাইনে আছে “পুলিশ জাদুঘর”।
মিরপুর চিড়িয়াখানার ভেতরে রয়েছে “প্রাণী জাদুঘর”।
আরো আছে, “সেনানিবাস জাদুঘর”, “ঢাকা নগর জাদুঘর”, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিভাগীয় জাদুঘর, “নজরুল জাদুঘর”, “এ্যানাটমি জাদুঘর”, “বিমান বাহিনী জাদুঘর”, “শিশু জাদুঘর” “সামরিক জাদুঘর” ইত্যাদি।
নভোথিয়েটার
সংসদ ভবনের কাছাকাছি বিজয় সরণিতে এই
আধুনিক তারামন্ডল বা নভোথিয়েটারটি অবস্থিত। সরকারি ছুটির দিন ও বুধবার এটি বন্ধ
থাকে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দেখানো হয় মোট চারটি ‘শো’ । আর অন্যান্য দিনগুলিতে সকাল ১১টা থেকে
বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেখান হয় মোট তিনটি ‘শো’ ।
No comments